Blog

  • মানিব্যাগে যে ৬ জিনিস রাখবেন না

    মানিব্যাগে যে ৬ জিনিস রাখবেন না

    আমাদের মধ্যে অনেকেই মানিব্য়াগে এমন কিছু জিনিস রাখি যেগুলো প্রতিদিন ব্য়বহার হয় না। কিছু না ভেবেই তা ব্যাগের মধ্যে দিই। তা দিনের পর দিন একইভাবে পড়ে থাকে।

    আবার অনেকে টাকাপয়সার পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রও সব সময় মানিব্যাগে রাখেন।

    এ অবস্থায় মানিব্যাগ হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি হয়। এই অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই অনেকের আছে।

    এ ধরনের বিপত্তি এড়াতে কিছু জিনিস মানিব্যাগে না রাখাই ভালো।

    মানিব্যাগ সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন।

    ছেঁড়া ফাটা টাকার নোট রাখবেন না। মানিব্যাগের ভেতরে অপ্রয়োজনীয় কাগজ রাখবেন না। এতে ব্যগটি অপরিষ্কার লাগবে।

    এ ছাড়া পকেটমারের হাত থেকে বাঁচতে মানিব্যাগে টাকা ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখা থেকে বিরত থাকুন।

    নাহলে মানিব্যাগ হারালে পড়বেন মহাবিপদে। গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর মধ্যে হলো—

    আইডি কার্ড ও সিমকার্ড

    কেউ কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড ও মোবাইল ফোনের সিমকার্ড মানিব্যাগেই রাখেন। নিরাপত্তার স্বার্থে ও ঝামেলা এড়াতে এই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত।

    ক্রেডিট কার্ড

    আজকাল একজনের একাধিক ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড থাকে। অনেকে সব কার্ডই মানিব্যাগে রাখেন।

    এ অবস্থায় যদি মানিব্যাগ হারিয়ে যায়, তাহলে ভেবে দেখুন কী ঝামেলার সম্মুখীন হবেন। তাই মানিব্যাগে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি।

    রসিদ

    মানিব্যাগে অনেকে রসিদ সংরক্ষণ করেন। মানিব্যাগ হারালে রসিদও যাবে। তখন মহাবিপদ। তাই মানিব্যাগে সব সময় রসিদ রাখা উচিত নয়; বরং তা বাসায় রাখাই ভালো। কাজের সময় রসিদটি সঙ্গে নিলেই হবে।

    চেক বই

    মানিব্যাগে চেক বই রেখে অনেকে নিশ্চিন্ত থাকেন। কিন্তু এই সতর্কতা বিপদ ডেকে আনতে পারে। মানিব্যাগ খোয়া গেলে চেকও যাবে। তখন ভুক্তভোগীকে নানান ঝামেলা পোহাতে হবে।

    পাসওয়ার্ড

    মোবাইলের এ যুগে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারেন না। সেগুলো লিখে তারা মানিব্যাগে রাখেন। মানিব্যাগ হাতছাড়া হওয়া মানে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্ট ও তথ্য হাতছাড়া হওয়া।

    গয়না

    মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেকেই মানিব্যাগে দামি গয়না রাখেন। মানিব্যাগ হারালে দামি গয়নাও হাতছাড়া হতে পারে।

    তাই নিজের ভালোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আলাদা রাখা বা বাসায় রাখাই ভালো। এ ছাড়া যে জিনিসগুলোর খুব একটা প্রয়োজন নেই সেগুলো মানিব্যাগে না রাখাই ভালো। এতে মানিব্যাগ ভারি মনে হবে। বহনেও ঝামেলা মনে হবে।

  • কম বয়সেই ঝাপসা দেখছেন? এটি কীসের লক্ষণ জেনে স’তর্ক হন

    কম বয়সেই ঝাপসা দেখছেন? এটি কীসের লক্ষণ জেনে স’তর্ক হন

    চোখ শরীরের স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ। অথচ চোখের উপরেই পড়ে অনেক চাপ। অফিসে দীর্ঘ ক্ষণ কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকা, ঘন ঘন জুম মিটিং, মোবাইলের অত্যধিক ব্যবহার সব ক্ষেত্রেই চাপ পড়ছে চোখের উপর।

    শরীর সুস্থ রাখতে যেমন শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। তেমনই দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে চোখের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

    তবে প্রতিদিনের কিছু অভ্যাসের কারণে দেখা দিতে পারে চোখের সমস্যা। এমনকি, অন্ধত্বের আশঙ্কাও থেকে যায়।

    যেমন, কাজের ফাঁকে বা অবসর সময়েও অনেকেরই চোখে হাত দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। আঙুল দিয়ে বারবার চোখ ঘষার কারণে কর্ণিয়া দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে চোখ থেকে জল পড়া, চোখ চুলকানো, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

    দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল ডায়াবিটিস। ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সি ডায়াবিটিক রোগীদের মধ্যে চোখের সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

    রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে ডায়াবিটিক রেটিনোপ্যাথি, ম্যাকুলার এডিমা, গ্লুকোমা এবং ছানির মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।

    ডায়াবিটিস থাকলে চোখ ভাল রাখতে বাড়তি সচেতনতা নেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত চোখ দেখানো, আলাদা করে চোখের যত্ন নেওয়া জরুরি।

  • খেজুর থেকে দূরে থাকবেন যারা, জেনে নিন

    খেজুর থেকে দূরে থাকবেন যারা, জেনে নিন

     রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সেরার সেরা খেজুর। এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও কিছু মানুষকে খেজুর থেকে দূরে থাকা উচিত। খেজুর খাওয়ার ফলে তাদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। তাই আসুন জেনে নিই, কারা কারা খেজুর এড়িয়ে চলবেন।

    খেজুর খেতে মানা যাদের

    পেট খারাপ হলে : ডায়রিয়ার সমস্যা থাকলে খেজুর খাবেন না। এতে মল নরম করার বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এটি বেশি পরিমাণে খেলে আপনার সমস্যা আরো বাড়তে পারে। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন বা ইতোমধ্যেই মোটা, তাদের খেজুর কম খাওয়া উচিত।

    কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি। যা আপনার ওজন বাড়াতে পারে দ্রুত।

    কিডনি রোগ বা ডায়াবেটিস থাকলে : আপনার যদি কিডনি দুর্বল হয় বা এর সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো রোগ থাকে, তাহলে খেজুর খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এতে উচ্চ পটাশিয়াম রয়েছে।

    এই উপাদান কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ডায়াবেটিস থাকলে খেজুর কম খান বা একেবারেই খাবেন না। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে। যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

    অ্যালার্জি থাকলে : কোনো কিছুতে অ্যালার্জি থাকলে খেজুর খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

    এতে চুলকানি, ফুসকুড়ি, হাঁচি বা চোখে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় খুব বেশি খেজুর খাওয়া ঠিক নয়। এটি গর্ভাবস্থায় সংকোচন বাড়াতে পারে। এতে আপনার সমস্যা হতে পারে। অতএব খাওয়ার আগে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

    কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে : আপনার যদি প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তবে বেশি খেজুর খাবেন না। এটি মলকে খুব শক্ত করে তুলতে পারে এবং আপনার পেট খালি করতে অসুবিধা হতে পারে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এগুলো অতিরিক্ত খেলে মাংসপেশির দুর্বলতা হতে পারে। তাই স্বাভাবিক পরিমাণে খেজুর খাওয়াই ভালো হবে।

    হজম প্রক্রিয়া খারাপ হলে: ছোট বাচ্চাদেরও খেজুর দেওয়া উচিত নয়, কারণ তাদের অন্ত্রগুলো খুব ভালোভাবে বৃদ্ধি পায় না। বেশি খেজুর খেলে তাদের হজম প্রক্রিয়াও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

    খেজুর খাওয়া একটি ভালো অভ্যাস, কিন্তু বেশি খাওয়া সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই আসুন জেনে নিই, খেজুর কতটা এবং কিভাবে খাওয়া উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।

    দিনে ২-৪ টির বেশি খেজুর খাওয়া উচিত নয়। দুধ বা বাদাম দিয়ে এটি খেলে বেশি উপকার হবে। গ্রীষ্মে খুব বেশি খেজুর খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি শরীরে তাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।

    সূত্র : নিউজ ১৮

  • সৌদি আরবে ঈদের তারিখ নিয়ে তুমুল বি’তর্ক, জ্যো’তির্বিদের সমালোচনা

    সৌদি আরবে ঈদের তারিখ নিয়ে তুমুল বি’তর্ক, জ্যো’তির্বিদের সমালোচনা

    সৌদি আরবে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, সৌদি কর্তৃপক্ষ চাঁদ দেখার ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়েছে। এতে ঈদুল ফিতর একদিন আগে পালন করা হয়েছে। এই ঘটনায় দেশটির জনগণের মধ্যে কাফফারা দেওয়ার প্রস্তাবও উঠেছে। তবে এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। খবর সূত্র: দ্য নিউ আরব।

    অন্যদিকে, কিছু আরব দেশ রোববার (৩০ মার্চ) ঈদ ঘোষণা করলেও, মিশর, জর্ডান, সিরিয়াসহ সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো সৌদি আরবের সিদ্ধান্ত না মেনে সোমবার ঈদ উদযাপন করেছে। এছাড়া শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান এবং ওমানের ইবাদি ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ (ওমানে ৪৫% ইবাদি, ৪৫% সুন্নি, ৫% শিয়া) সোমবারই ঈদ পালন করেছে।

    বিশ্বের অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, যেদিন শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল, সেদিন সূর্যগ্রহণের কারণে চাঁদ দেখা সম্ভবই ছিল না। আবুধাবির আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান কেন্দ্রও জানিয়েছে, পূর্ব গোলার্ধে সেদিন চাঁদ দেখার কোনো সুযোগ ছিল না।

    নিউ ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ইমাদ আহমেদ বলেছেন, ইসলামি মাসগুলো চাঁদের নতুন পর্যায় থেকে নয়, বরং অর্ধচন্দ্রের পর্যায় থেকে শুরু হয়। এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। অনেকে মনে করেন, এর ফলে কোটি কোটি মুসলিম একদিন আগেই রোজা শেষ করেছেন।

    প্রতিবেদন বলছে, ২০১১ সালে সৌদি চাঁদ দেখার কর্তৃপক্ষ শনি গ্রহকে চাঁদ ভেবে ভুল করেছিল। ২০১৯ সালেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ উভয় ঘটনার প্রতিবেদন অস্বীকার করেছে।

    ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি উৎসবে চাঁদ দেখা নিয়ে মাঝে মাঝে বিতর্ক হয়। কিছু দেশ জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব ও আধুনিক প্রযুক্তির ওপর ভর করে, আবার কেউ কেউ খালি চোখে চাঁদ দেখে ঈদ পালন করে। এই বিতর্কের মধ্যে, ইসলামে চাঁদ দেখার সঠিক পদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক্য এখনও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে আছে।

  • থা’নায় জিডি করলেন ভোক্তার সেই জব্বার মণ্ডল

    থা’নায় জিডি করলেন ভোক্তার সেই জব্বার মণ্ডল

    জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক মো. আব্দুল জাব্বার মণ্ডলের নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ খোলার অভিযোগে থানায় জিডি করেছেন তিনি।

    সোমবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও থানায় করা জিডিতে (জিডি নম্বর-১৬৯৯) আব্দুল জব্বার মণ্ডল উল্লেখ করেন, তার নামে এবং তার ছবি ব্যবহার করে একাধিক ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ খোলা হয়েছে। এতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।

    তিনি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন।

    পোস্টে তিনি ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও পেজগুলোর স্ক্রিনশট যুক্ত করে দেন এবং সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তিনি লেখেন, ‘আমার নামে এবং আমার ছবি ব্যবহার করে কিছু নকল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে। এ বিষয়ে জিডি করা হয়েছে। সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হলো।

    পোস্টের শেষে তিনি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। ঈদ মোবারক।’

    উল্লেখ্য, মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে বাজারে অতিরিক্ত দাম, ভেজাল পণ্য ও প্রতারণার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অসাধু ব্যবসায়ীরা শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন এবং বাজারে ন্যায্য দাম প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে।

    তার শান্ত ও ধৈর্যশীল আচরণের মাধ্যমে একদিকে ব্যবসায়ীদের সঠিক দামে পণ্য বিক্রিতে বাধ্য করা হচ্ছে, অন্যদিকে ক্রেতারা উপকৃত হচ্ছেন।

  • র’ক্তশূন্যতা কি? লক্ষণ এবং সঠিক সময় চিকিৎসা নিতে কীভাবে বুঝবেন, জেনে নিন

    র’ক্তশূন্যতা কি? লক্ষণ এবং সঠিক সময় চিকিৎসা নিতে কীভাবে বুঝবেন, জেনে নিন

    বিভিন্ন কারণে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এটি সবচেয়ে বড় অপুষ্টিজনিত একটি সমস্যা। শুধু অপুষ্টি নয় আয়রনের অভাব কিংবা থালাসেমিয়ার মতো রোগ এর কারণ হতে পারে।

    এ ছাড়াও শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষত থেকে হওয়া রক্তক্ষরণের ফলেও শরীরে দেখা দিতে পারে রক্তশূন্যতা। পরিবারের কেউ রক্তশূন্যতায় ভুগলে অন্যান্যদেরও হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

    রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রতি লিটার রক্তে ১৩৫ গ্রাম। আর নারীদের ১২০ গ্রামের কম হলেই তাকে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার লক্ষণ বলা হয়।

    তবে সব সময় তো রক্ত পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। এ কারণে দীর্ঘদিন রক্তশূন্যতায় ভুগলেও অনেকেই টের পান না। অজান্তেই এ সমস্যা থেকে যায় শরীরে।

    তবে এক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় শরীরে। চলুন তবে জেনে নেওয়া কোন কোন লক্ষণ দেখেই বুঝতে পারবেন আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন-

    > রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন পরিবহণ করে। ফলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে রোগী সব কাজে হাঁপিয়ে বা ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

    > রক্তাল্পতার প্রভাবে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যেতে শুরু করে। অনেকেই ভাবেন, ত্বক হয়তো উজ্জ্বল হচ্ছে! এ ছাড়াও রক্ত শূন্যতার কারণে চোখের ভেতরের মাংস পেশিগুলোও লাল রং হারিয়ে ফেলে।

    > শরীরের আয়রন কমে গেলেই দেখা দেয় রক্তশূন্যতা। এর প্রভাবে চুলও পড়ে যেতে পারে। কাজেই অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাও রক্ত স্বল্পতার লক্ষণ হতে পারে।

    > রক্তশূন্যতার রোগীরা অল্পেই ক্লান্তি ও বিষণ্নতায় ভোগেন। যা ডেকে আনতে পারে মাথাব্যথাও। কিছু ক্ষেত্রে রোগী মানসিক অবসাদের শিকার হতে পারেন।

    > হাত-পা ঠান্ডা হয়ে থাকাও কিন্তু রক্তশূন্যতার ইঙ্গিত দেয়। তাই এসব লক্ষণ দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর সময়মতো চিকিৎসা না করালে ঘটতে পারে নানা বিপদ।

    প্রতিরোধে করণীয়-

    অনেক ধরনের রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করা যায় না। তবে আপনি যদি আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া ও ভিটামিন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ায় ভোগেন, তাহলে ডায়েট পরিবর্তনের মাধ্যমে তা সারাতে পারবেন।

    এজন্য আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন বি ১২ ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে।

  • তীব্র কালবৈশাখী ও ঘূ’র্ণিঝড়ের আভাস

    তীব্র কালবৈশাখী ও ঘূ’র্ণিঝড়ের আভাস

    বঙ্গোপসাগরে চলতি এপ্রিল মাসে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এ ছাড়া তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে।

    বিভিন্ন মডেল পূর্বাভাস, আবহাওয়া উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়ার মানচিত্র ও জলবায়ু মডেল বিশ্লেষণ করে এপ্রিল মাসের জন্য এ পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিসের বিশেষজ্ঞ কমিটি। আবহাওয়াবিদ মো. মমিনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ সময় দেশে ৫ থেকে ৭ দিন বজ্র এবং শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ১ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।

    এতে জানানো হয়, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    এছাড়া এপ্রিলে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসময় দেশে ২ থেকে ৪টি মৃদু অথবা মাঝারি এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • এপ্রিলের জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ

    এপ্রিলের জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ

    বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ওঠানামার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি বিভাগ। জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; যা আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

    ডিজেল প্রতি লিটার ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৫ টাকা, অকটেন ১২৬ টাকা এবং পেট্রোল ১২২ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানানো হয়।

    সোমবার (৩১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস বা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের জন্য তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্য জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান মূল্য কাঠামো অনুযায়ী ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

    সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এপ্রিলে ডিজেল প্রতি লিটার ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৫ টাকা, অকটেন ১২৬ টাকা এবং পেট্রোল ১২২ টাকায় বিক্রি হবে।

    সোমবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

  • প্রায়ই গোড়ালির ব্য’থায় ভুগছেন? এই ব্য’থা নিয়ন্ত্রণে যা করবেন, একনজরে দেখেনিন

    প্রায়ই গোড়ালির ব্য’থায় ভুগছেন? এই ব্য’থা নিয়ন্ত্রণে যা করবেন, একনজরে দেখেনিন

    দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করছেন। হঠাৎ উঠে দাঁড়াতে গিয়ে দেখলেন গোড়ালিতে তীব্র যন্ত্রণার কারণে মাটিতে পা ফেলতে পারছেন না। কিছু ক্ষণ পর হয়তো আবার তা কমতে থাকে। পায়ের প্লান্টার ফাসিয়া নামের একটি লিগামেন্ট থাকে। সেখানে টান ধরলেই সাধারণত গোড়ালিতে ব্যথা বাড়ে। এই সমস্যাকে বলে প্লান্টার ফাসাইটিস। এর প্রধান উপসর্গ হল গোড়ালিতে অসহ্যকর ব্যথা। এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে যা করবেন-

    ১. ওজন বেশি হলে এই সমস্যা বাড়ে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা হল ভীষণ জরুরি।

    ২. এ ক্ষেত্রে উঁচু ও শক্ত সোলের জুতো ব্যবহার করলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্যথা।

    ৩. ব্যথার তীব্রতা কমাতে গোড়ালিতে বরফ সেঁক দিতে পারেন।

    ৪. গোড়ালির জন্য হালকা ব্যায়াম করতে পারেন তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে। অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি করলেও ব্যথা বাড়তে পারে।

    গোড়ালির ব্যথা কমাতে যেসব ব্যয়াম করা প্রয়োজন-

    ১. ঘুম থেকে উঠে নীচে নামার আগে খাটেই পা স্ট্রেচ করুন।

    ২. একটি টেনিস বল পায়ের পাতার নিচে রেখে গোড়ালি থেকে আঙুল পর্যন্ত ঘোরান। শুধু সকালে নয়, দিনের যে কোনও সময়েই তা করতে পারেন। বলটি ঘোরানোর সময়ে হালকা করে তার উপর চাপ দেবেন। নিয়মিত এই অভ্যাসে ব্যথায় অনেকটা উপশম পাবেন।

    ৩. দিনে অন্তত একবার গরম তেলের মালিশ করুন। মালিশ করলে গোড়ালির অংশে রক্ত চলাচল বাড়বে । এতে ব্যথা থেকেও মুক্তি পাবেন।

  • খালেদা জিয়ার পরিবারের ঈদের ছবি পোস্ট করে যা বললেন আসিফ নজরুল

    খালেদা জিয়ার পরিবারের ঈদের ছবি পোস্ট করে যা বললেন আসিফ নজরুল

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের ঈদের ছবি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

    রোববার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাতে তার পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক ফ্রেমে খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও নাতনি জাইমা রহমান। তাদের সবার মুখেই হাসি।

    পোস্টে আসিফ নজরুল লিখেন, ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক। তিনি জালিমকে করেছেন বিতাড়িত, মজলুমকে প্রশান্ত!’

    বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আসিফ নজরুলের পোস্ট করা ছবিটি আট বছর পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় খালেদা জিয়ার ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপনের।

    গত ৮ জানুয়ারি শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য লন্ডন পৌঁছান, হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সরাসরি তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ডেভেনশায়ার প্লেসে ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিক’ এ ভর্তি করা হয়।

    ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন এই হাসপাতালে অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধায়নে। এরপর লন্ডন ক্লিনিকে তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রস এর তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া।

    ৭৯ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।

    ২০১৫ সালে লন্ডনে ঈদের পর ২৫ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ওই অনুষ্ঠানে মায়ের পাশে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও ছিলেন।

    ২০১৮ সালে বিএনপির চেয়ারপারসনকে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। করোনা সময়কালে সরকার তাকে বিশেষ কারামুক্তি দেয়। কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদে কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।